যশোরে আন্ত:জেলা ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী চক্রের অন্যতম হোতাসহ দু’সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই দুটি ইজিবাইক ও একটি মোটরসাইকেল এবং একলাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সিন্ডিকেট প্রধান যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার আলী রেজা রাজু ও মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার ইব্রাহিম খানের ছেলে নজরুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন।
তিনি জানান , চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ইজিবাইক ছিনতাই করা এ চক্রের মুল পেশা। তারা প্রথমে চালকের সাথে খোশ গল্পে মেতে ওঠে। এরপর চেতনানাশক খাবার খাইয়ে অচেতন করে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। বাধা আসলে তারা খুন করতেও পিছু পা হন না। তারা শুধু ইজিবাইকই নয়, মোটরসাইকেলসহ নগদ টাকাও তারা লুট করে থাকে। তিনি আরও জানান, একই স্টাইলে গত ২১ মার্চ বিকেলে মনিহার চত্বর থেকে তুষার নামে একজনের ইজিবাইক ছিনতাই হয়।
এছাড়া ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চাঁচড়া বাজার থেকে একইভাবে জাকির হোসেন নামে আরেকজনের ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এই দুটি ঘটনায় মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। দুটি ঘটনার সাথেই সিন্ডিকেটের হোতা রাজুর জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ধরতে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম রাজুকে সোমবার বিকেলে শহরের মাইকপট্টি থেকে আটক করেন।
পরে তার দেয়া তথ্যে বারান্দীপাড়া ও মাগুরা জেলায় অভিযান চালিয়ে চোরাই দুটি ইজিবাইক ও একটি মোটরসাইকেল এবং একলাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে এসব গাড়ি বিক্রির সাথে জড়িত নজরুলকে আটক করে পুলিশ। মোটরসাইকেলটি যাচাইবাছাই করে তারা জানতে পারেন সেটি ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সিতারামপুর তারা মসজিদের সামনে থেকে চুরি হওয়া শওকত নামে এক মুসল্লীর।
ডিবি পুলিশ জানায়, এ চক্রের সাথে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড
