যশোরের বেজপাড়ার ফারহানা পারভীন হত্যা মামলায় আপন ভাই ও মাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। এর আগে এ হত্যাকণ্ডে তারা নিজেরা জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ যশোর কতোয়ালী থানায় এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতর হলেন, নিহতের ভাই ফয়েজ রাজ্জাক ফারদিন ও তার মা আইরিন পারভীন।
ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, নিহত ফারহানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় মা ও ভাইয়ের সাথে তিনি শহরের বেজপাড়ার রাসেল চত্বর এলাকার ইমরান কবিরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এখানে পারিবারিক কলহের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে তার ভাই ফারদিন শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর ফারদিন ও তার মা আইরিন পারভীন মৃরদেহ গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখায় নিয়ে যায়। মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে দাফন করার চেষ্টা করে।
নিহতের গোসলের সময় তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর ফারহানার চাচা রবিউল ইসলাম বিষয়টি শালিখা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। শালিখা পুলিশের মাধ্যমে অবহিত হওয়ার পর যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ফারহানার মৃতদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
একইসাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারহানার ভাই ফারদিন ও মা আইরিন বেগমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর তারা হত্যার দায় স্বীকার করলে ফারহানার চাচা রবিউল ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, নিহত ফারহানা মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। ঘাতক ফারদিন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের এলএলবির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
খুলনা গেজেট/ এসজেড