উর্ধ্বগতির মূল্য নিয়ন্ত্রণে যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো ও একটি চালানে ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। চাল, ডাল, গম, ডিম, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের পাশাপাশি আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার সময় ১২ ট্রাকে ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান।এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুটি চালানে ১৬ ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস।আলুর চালানটি খালাস নিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, গতকাল রাতে ভারত থেকে আমদানিকৃত ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রাতে ১১ টি ট্রাক ভর্তি আলুর চালান বন্দরে প্রবেশ করেছে। আরও এক ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।আমদানিকারক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলে দ্রুত ছাড়করণের জন্য সহযোগিতা করা হবে। এর আগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই চালানে ৪০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়।যা ইতোমধ্যে বন্দর থেকে ছাড়করণ করা হয়েছে।
বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, বন্দরে ভারত থেকে গতকাল রাতে আরও ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে