সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসেই মূলস্ফীতি বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় মূল্যস্ফীতি যেন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে খুলনা চাল ও খাসির মাংসের বাজারে। রোববার প্রতি কেজি চিকন চাল ৬৪ টাকা এবং খাসির মাংসের মূল্য ৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে বাজার কর্মকর্তা তথ্য দিয়েছেন।
করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুণরুদ্ধারে উর্দ্ধমুখি দক্ষিণের কৃষি অর্থনীতি। সেই সুবাদে খুলনার পাইকারী ও খুচরা বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে চাল, ভোজ্য তেল, খাসির মাংস, ও শীতের সব্জির মূল্য।
নগরীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ৩০ টাকা, পেয়াজ ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা, ফুলকপি ও লালশাক ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পলিসি ও রিচার্স ইনস্টিটিউট-এর এক গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে ডলারের মূল্য এবং বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। আগামী এক বছর নাগাদ এ বাড়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
খুলনার সিনিয়র কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো বাজার দর সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, সয়াবিনের মূল্য বৃদ্ধি, ২৩টি পন্যের মূল্য স্থিতিশীল এবং ৫টি পণ্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী কেজি প্রতি মোটা চাল ৪২-৪৪ টাকা, চিকন চাল ৬০-৬৪ টাকা, সয়াবিন প্রতিকেজি ১৬৪-১৬৬ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০-৫৬০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, দেশী মুরগী ৪০০-৪২০ টাকা, লবন ৩০-৩৫ টাকা ও এক হালি ডিম ৩৪-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, খুলনার উপ পরিচালক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, বাজার দর তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
বাগেরহাট জেলায় ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান এবং খুলনার সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম এ অভিযান পরিচালনা করবেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই