ভক্তদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সকলের। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। সরকার দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ধর্মসভা মন্দির প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে অস্বচ্ছল নারীদের মাঝে নতুন বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, করোনাভাইরাস এখনও শেষ হয়ে যায়নি। করোনা সংক্রমণরোধে মাস্ক ব্যবহার সরকার বাধ্যতামূলক করেছে। এখন পর্যন্ত করোনার কোন ঔষধ তৈরি হয়নি। রাস্তা, দোকান, বাজার, শপিংমলসহ বিভিন্ন স্থানে এখন মাস্ক ছাড়াই মানুষকে চলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব এবং সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নিদের্শনা মেনে সবসময় মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু করতে মেয়র নগর বাসীর প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপী কিষাণ মুন্ধরা প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা শ্রীমদ্ভগবদগীতা সংঘের আজীবন সদস্য প্রফেসর ডাঃ শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র তিনশত অস্বচ্ছল নারীদের মাঝে নতুন বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।মেয়র জুম্মাবার নগরীর নিরালা রিয়াজুল জান্নাত জামে মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মুসল্লিদের ইবাদত বন্দেগীর সুবিধার্থে সরকার দেশব্যাপী মসজিদ নির্মাণ করে যাচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ চলমান রয়েছে। এসময় মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট / এমএম