রূপসা নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র, খুলনার আয়োজনে শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী মাজেদা হকের স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নন্দিনীর প্রতিষ্ঠাতা নন্দিনীমাতা সুলতানা রিজিয়া ও কেন্দ্রীয় নন্দিনীর সহ-সভানেত্রী বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান, সহ-কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা মুনতাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর ফারহানা ওয়াহেদ তুনা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার সকাল ১১টায় রূপসা নন্দিনীর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কবি শামছুন্নাহার পারা ও প্রাক্তন সহ-সভানেত্রী পারভীন বিল্লাহকে রূপসা নন্দিনীতে অবদান রাখার জন্য সুলতানা রিজিয়ার মাধ্যমে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। তারা দু’জনই শয্যাশায়ী ও সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
বিকেলে সভানেত্রী মুর্শিদা আক্তার রনির সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে পুনরায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নন্দিনীর প্রতিষ্ঠাতা সুলতানা রিজিয়াকে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান ও ফুলের শুভেচ্ছাসহ উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয়। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় অতিথিদের ফুল ও শুভেচ্ছা স্মারক এর মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। অতঃপর রূপসা নন্দিনীর সম্মানীয় উপদেষ্টাদের মধ্যে ডক্টর গাজী আব্দুল্লাহেল বাকী, আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার মোল্লা, অধ্যাপক আমিন মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদ, অধ্যাপক শেখ দিদারুল আলম ও প্রফেসর সেলিনা বুলবুলকে প্রীতি উপহার প্রদান করা হয়। সেইসঙ্গে ১০ জন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য যারা এখনো সক্রিয় তাদেরকেও স্মৃতি উপহার দেওয়া হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক শাহীনা বাবর। অত:পর মিনু মমতাজ সম্পাদিত প্রয়াত মাজেদা হকের স্মারক গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়। স্মারক গ্রন্থটির সার্বিক নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সম্পাদনা পরিষদের সভাপতি ড. গাজী আবদুল্লাহেল বাকী।
গ্রন্থটির ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মহিলা সমিতির পক্ষে মনোয়ারা বেগম, সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে অধ্যা: রেহানা বেগম, লেখিকা সংঘের পক্ষে আলোচনা করেন অধ্যা:সুরাইয়া বেগম, ইনার হুইল ক্লাবের থেকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যা: সুরাইয়া পারভীন, বনলতা সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে সৈয়দ আলী হাকিম, মাজেদা হকের সহকর্মী কাজী শামীমা মিতা ও তাঁর দ্বিতীয় কন্যা নাহিদ শারমিন, রূপসা নন্দিনীর থেকে অধ্যা:হোসনে আরা মাহমুদ লিলিসহ কামরুল হাসান মৃধা প্রমূখ মাজেদা হকের জীবনীর আলোকে বক্তব্য তুলে ধরেন।
উপস্থিত ছিলেন মাজেদা হকের একমাত্র পুত্র মো: আল মামুন, কবি লায়লা আজাদ, বুলবুল আক্তার, মামনুরা জাকির খুকুমণি, নাজমা বেগম ডলি , রাজিয়া সুলতানা বেবী, মিসেস আখতার জাহান, কবি আলমাস আরা, কবি জাহানারা আলী জানু, কবি রহিমা জালাল হাসি, আরীফা জাহান রিপা, কবি কাওসারী জাহান, পারভীন আকতার কাজল, কানিজ ফাতেমা রিপা, নতুন রহমান, এম,এম,হাসান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিন মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ, শারমিন আক্তার ময়না, হাসনাত জাহান হ্যাপি ও জেসমিন আরা।
বর্তমান সভানেত্রী মুর্শিদা আক্তার রনিকে রূপসা নন্দিনীতে পৃষ্ঠপোষকতা ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিনু মমতাজকে “রূপসা নন্দিনী” প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখার জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি সুলতানা রিজিয়াসহ কেন্দ্রীয় অতিথিদের বক্তব্য শেষে সভানেত্রী মুর্শিদা আক্তার রনি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনসহ তাঁর সুচিন্তিত বক্তব্য তুলে ধরেন। বিশেষ করে রূপসা নন্দিনীর কার্যক্রমে এম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আযম চৌধুরীর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রূপসা নন্দিনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মিনু মমতাজের বাসায় গুরুত্বপূ্র্ণ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নন্দিনীমাতা সুলতানা রিজিয়ার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্যদের সঙ্গে রূপসা নন্দিনীদের দীর্ঘ সময় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর প্রয়াত মাজেদা হকের পরিবারের আমন্ত্রণে তাঁর বাসভবনে রূপসা নন্দিনীদের সংগে কেন্দ্রীয় অতিথিবৃন্দ নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে মাজেদা হক ও ডা:মোজাম্মেল হকের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড