ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে তেরখাদা উপজেলার কাটেংগা বাজার ও টিএন্ডটি চত্বর।কাটেংগা ও জয়সেনা বাজারের দোকান পাট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে প্রতিদিন হরহামেশা ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে প্রতিদিন এখানে বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। পচনশীল এসব ময়লা পচে ও নষ্ট হয়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এতে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, তেমনি দুর্গন্ধে মানুষ চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে তদারকি সংশ্লিষ্টদের কোন নজরদারি ও ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জয়সেনা-কাটেঙ্গা বাজারের মাঝখানে হাঁস-মুরগীর হাট সংলগ্ন ফাঁকা জায়গা ও টিএন্ডটি চত্বরে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। আবর্জনার স্তূপ ও দুর্গন্ধের কারণে ওই স্থান দিয়ে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের চলাচল অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। কাটেংগা ও জয়সেনা বাজারের দোকান পাট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ইত্যাদিতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এসব ময়লা এখানে ফেলা হচ্ছে। এতে বাজার এলাকার সমস্যা ও পরিবেশ দূষণ হলেও কোনো নজরদারী ও উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বছরের পর বছর ময়লা-আবর্জনার স্তুপ বেড়েই চলেছে এই দুই স্থানে। মাঝে-মধ্যে ওই ময়লার স্তুপ আগুন দিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা। এতে আগুনের ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠে। এতে একদিকে যেমন ময়লার দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় এলাকাবাসীর বিভিন্ন রোগবালাই ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বেড়েছে মশার উপদ্রবও। সব কিছু মিলিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই স্থানীয় ভুক্তভোগীদের। মূলত ময়লা ফেলার জন্য বাজারে সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ধারিত না থাকায় বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে নিয়মিত। এতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বাজার ও টিএন্ডটি চত্বর। যা স্থানীয় মানুষসহ ক্রেতা, বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।
জয়সেনা বাজারের লন্ডী ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন, কাটেংগা বাজারের টেইলার্স ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকারসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এ দুই বাজারের ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় জায়গাটি এখন যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যার ফলে মশা, মাছির উপদ্রব বেড়েছে এবং ব্যবসা পরিচালনা করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দুই বাজারের ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্টস্থানে ময়লা ফেলার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম