যশোরের মণিরামপুরে আব্দুল জলিল (৫০) নামে এক ব্যক্তি ষষ্ঠ শ্রেণীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস-বৈঠক হলেও একটি চক্র জড়িত জলিলের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে ঘটনা পুলিশকে না জানিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় জামসেদ আলী, সিদ্দিকুর রহমান ও ইব্রাহিম হোসেন জানান, দরিদ্র পরিবারের ওই শিক্ষার্থী ঘিবা গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র জলিলের বাড়ীর উঠান দিয়ে পাশ্ববর্তী বান্ধবীর বাড়ীতে যাওয়ার সময় তাকে ধরে নিয়ে ঘরের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। এসময় মেয়েটি ধ্বস্তা-ধ্বস্তির এক পর্যায় দৌড়ে পালিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে লম্পট জলিলের উপস্থিতিতে স্থানীয় রেজাউল ইসলামের দোকানের সামনে উক্ত ঘটনা নিয়ে শালিস-বৈঠক হয়। অভিযোগ রয়েছে শালিস চলাকালে এলাকার ক্ষমতাধর একটি চক্র মোটা অংকের চুক্তিতে জলিলের পক্ষ নিয়ে কথা বলার এক পর্যায় তাকে নিয়ে সটকে পড়ে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি এলাকার কিছু ব্যক্তির বাঁধা ও ভয়-ভীতির কারণে বিষয়টি নিয়ে তারা এখনও পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, উক্ত ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই