দীর্ঘদিন পরে হলেও যশোরের মণিরামপুরে মহামারী করোনাসহ প্রশাসনের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনকারী প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্যকারীদের দমন করতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে আইনী শাস্তি-দন্ড থেকে রক্ষা পেতে আপাতত কোচিং-প্রাইভেট চালানো হবেনা মর্মে রবিবার (৬ জুন) বিকেলে ২৯ জন শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।
নির্বাহী অফিসারের নিকট অঙ্গীকারনামা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার।
জানা যায়, মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু শিক্ষক, কলেজ গন্ডি পেরিয়ে নিজেদের লেখাপড়া বন্ধ করে অনেক যুবক এবং অবসরপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষকসহ শতাধিক ব্যক্তি অর্থ বাণিজ্য করতে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘর ভাড়া নিয়ে ও নিজের বাড়িতে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে কিছু কিছু প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালেও কোন ফল হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলাচলের কারণে প্রশাসনের অভিযানের পাশাপাশি কোন নির্দেশনা মানেননি অসাধু প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্যকারীরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, কোচিং বাণিজ্যর সাথে যুক্ত ৩২ জন শিক্ষককে নোটিশ করলে ২৯ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা দলবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং করাবেননা মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ২৯ জন শিক্ষক লিখিত অঙ্গীকারনামা দেয়ায় প্রাথমিকভাবে তাদেরকে শাস্তি-দন্ড থেকে ক্ষমা করা হয়েছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা শিথিল না হওয়া পর্যন্ত যদি আর কেউ কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি