যশোরের মণিরামপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কিশোর গ্যং-এর অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তায় ভ্যানগাড়ির সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে একটি কথিত পার্কের সামনে ভ্যান চালক ও ভ্যানের এক যাত্রীকে মারপিট করেছে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসের দিন থেকে কিশোর গ্যাং বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের তাহেরপুর এলাকায় একটি কথিত পার্কের সামনে মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের উপর ২০/২৫ জনের কিশোর গ্যাং ফুল হাতে জটলা শুরু করে। ওই সড়ক দিয়ে ষাট ঊর্ধ এক ব্যক্তি চারজন যাত্রী নিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় ভ্যান সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং-এর কয়েকজন সদস্য ওই ভ্যান চালকের উপর চড়াও হয়ে মারপিট শুরু করে। এতে প্রতিবাদ করলে ভ্যানের উপর থাকা এক যাত্রীকেও তারা মারপিট করে। এক পর্যায় ওই ভ্যান চালক কাঁদতে-কাঁদতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর ওই কিশোররা পার্কের মধ্যে চলে যায়। তবে, মারপিটের শিকার বৃদ্ধ ভ্যান চালক এবং ভ্যানে থাকা যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মহামারী করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে উঠতি বয়সের কিশোররা অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারির মধ্যে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে স্মার্ট ফেন হাতে ঘন্টার পর ঘন্টা অশুভ পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে। প্রতিদিন এমন ঘটনা স্থানীয় নারী-পুরুষের চোখে পড়লেও বিভিন্ন আশংকায় কেউ তাদের অপতৎপরতা প্রতিবাদ করতে চায়না।
তাছাড়া, বাড়ির পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারিতে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা ওই কিশোরদের বেপরোয়া চলাচল চোখে দেখলেও অধিকাংশ অভিভাবকরা তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনীহা প্রকাশ করে।
অভিযোগ রয়েছে, পৌর এলাকাসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় তারা নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে, জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পাশাপাশি কিশোর গ্যাং-এর অপরাধ কর্মকান্ডের তথ্য পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম