যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আশিকুজ্জামান ও এএসআই ইমরান হোসেনকে ক্লোজড করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন যশোরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুন উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে শরিফুল ইসলাম দারোগা আশিকুজ্জামান ও ইমরান হোসেনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে মামলা দায়ের করেন। পুলিশের বিশেষ শাখার একটি সূত্র জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা হওয়ায় তাদেরকে লাইনে ক্লোজড করা হয়। ১২ জুন উপজেলার রতনদিয়া গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে মুরাদ হোসেন একই এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে হাসিবুর রহমানকে বার্মিজ চাকু দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় জনগণ চাকুসহ মুরাদকে আটক করে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক আশিকুজ্জামান, এএসআই ইমরান হোসেনের কাছে হস্তান্তর করে। অভিযোগ রয়েছে, এরপর পুলিশ অজ্ঞাত কারণে চাকুসহ ঘটনাস্থল থেকে মুরাদকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করে চুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম হাসিবুরের পিতা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে একজন সাংবাদিক উপ-পরিদর্শক আশিকুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ওই সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করেন ওই কর্মকর্তা। সাংবাদিকের সাথে পুলিশ কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা অতঃপর বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সোমবার উর্ধ্বতন দপ্তর থেকে রতনদিয়া গ্রামে সরেজমিন তদন্ত করেন। এরই জের হিসেবে এদিন আশিকুজ্জামানসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে লাইনে ক্লোজড করা হয়।
এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামানের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদেরকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে, তবে সেটি ডিপার্টমেন্টের বিষয়। সবকিছু তার জানা নেই।
খুলনা গেজেট/এসজেড