মণিরামপুরে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএম নজরুল ইসলাম (৮৩) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ কন্যা ও ২ পুত্রসহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনারসহ দু’দফা নামাজে জানাযা শেষে পিতা-মাতার পাশে পরিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মণিরামপুর থেকে নির্বাচিত প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারীসহ সনাতন ধর্মের ব্যক্তিরা তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি জানাযায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
দলীয় ও মৃতের পরিবারিক সূত্রে জানাযায়, তিনি নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে খুলনা সিটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জোহরবাদ মণিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর একই বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম নামাজে জানাযায় অংশ নেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র এ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ আলাউদ্দীন প্রমুখ।
এছাড়া জানাযায় অংশ নেন নানা শ্রেণী-পেশার সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। এরপর প্রয়াত সাবেক উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএম নজরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থানে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হয়।
বিকেলে তার জন্মস্থান উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি এলাকায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর পিতা-মাতার পাশে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই