যশোরের ভৈরব নদ থেকে বারান্দি মোল্লাপাড়ার শুকুর আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ১১টায় বড়বাজার কালী মন্দিরের পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে তার বাবা নদে নেমে ছেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুকুর আলী পেশায় হকার ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ভ্যানে করে শহরে বিভিন্ন ক্ষুদ্র পণ্য বিক্রি করেন। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলাও রয়েছে।
শুকুরের বাবা সিদ্দিক শেখ জানান, গত শুক্রবার বাড়ি থেকে শুকুর বের হয়। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। হঠাৎ রোববার সকালে ভৈরব নদে মৃতদেহ ভাসার খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এসে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকেই নদী থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। সে সময় আশপাশের লোকজন নদীর দিকে যেয়ে ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে জানানো হয়। এসময় উৎসুক জনতা ভিড় করে ভৈরবপাড়ে।
এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তারা প্রথমে অজ্ঞাত মরদেহটি শনাক্তের চেষ্টা করতে থাকেন। এরই মাঝে শুকুরের বাবা সিদ্দিক এসে তার ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।তিনি নিজে নদীতে নেমে লাশ উঠিয়ে আনেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জেরেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ভৈরব নদে ফেলে দেয়া হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে, ময়না তদন্ত রিপোর্টের পর মৃত্যু রহস্য জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম