খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

ভূমিহীন কৃষকের জমিতে রাস্তা নিতে প্লট ব্যবসায়ীদের চোখ

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নে এক ভূমিহীন কৃষকের তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে ভোগ দখলীয় জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে কতিপয় প্লট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্লট ব্যবসায়ীরা জমিটির উপর দিয়ে যাতে রাস্তা তৈরি করতে না পারে, তার প্রতিকার চেয়ে ভূমিহীন পরিবারটি ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তি উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের মোঃ ওয়াছেক আলী সরদারের ছেলে সরদার সেলিম হোসেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করেন , বাদুরগাছা মৌজায় আর এস ২৩১ নং খতিয়ানে ১.২৬ একর জমি তার পিতা মোঃ ওয়াছেক আলী সরদার ও মাতা মোছাঃ ছায়রা বেগমের নামে সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়ার পর তারা দীর্ঘ তিনযুগ ধরে ভোগদখল করাসহ খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু জমির মূল্য বৃদ্ধির কারণে গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনুল ইসলাম তুহিন ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (ভূমি ব্যবসায়ী) সুলতান হাওলাদারের ছেলে মোঃ মাসুদ রানাসহ ফেমাস প্রোপার্টিস এর মালিকগন তাদের ব্যবসা প্রসারিত করার লক্ষ ওই জমির উপর দিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করছে। ভূমিপ্রাপ্ত ওয়াছেক আলী সরদারের ছেলেরা সরকারি বন্দোবস্তকৃত জমি রক্ষার্থে  হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। যার নং ৫৫৩৩/১৫। যার প্রেক্ষিতে গত ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ  আদালত একটি সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ প্রদান করেন।

অভিযোগকারী সরদার সেলিম হোসেন বলেন , ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনুল ইসলাম তুহিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভূমি ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউপি সদস্য মাসুদ রানা হাওলাদারের ব্যক্তিগত স্বার্থে বাদুরগাছা মৌজার বিলান জমিতে প্লট আকারে জমি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকারের দেওয়া একখন্ড জমি আমার পরিবারের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। আর সেই জমিটিই জবর দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ আমি ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।

ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ রানা হাওলাদার বলেন, সেলিম হোসেনের জমিতে রাস্তা করা তো দূরের কথা। উনার জমিতে এক টুকরো মাটিও ফেলানো হয় নি। ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনুল ইসলাম তুহিনকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান বলেন , অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ২২ নভেম্বর (আজ) আমার অফিসে ডাকা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!