ভারতে ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১২ যুবতী। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে দুটি এনজিও যুবতীদের গ্রহণ করে।
ভারতফেরত যুবতীরা হলেন, নরসিংদী জেলার সুমি খাতুন (২৫), খুলনার আছমা খাতুন (২৫) ও নার্গিস খাতুন (২৪), ঝিনাইদহের নাজমা বেগম (২৩), নাটোরের মুক্তি খাতুন (২৪), যশোরের মাহফুজা খাতুন (২৩) ও শরিফা খাতুন (২৫), কুমিল্লার সেলিনা খাতুন (২৬), বরিশালের শায়লা পারভিন (২৪), ঢাকার মিতু বেগম (২৫) ও শিরিনা খাতুন (২৪) এবং সাতক্ষীরা জেলার সুইটি খাতুন (২৪)।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে এদিন বিকেলে ১২ যুবতী দেশে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে বেসরকারি দুটি এনজিও তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
ফেরত আসা খুলনার আছমা খাতুন বলেন, ভালো কাজের আশায় দালালদের মাধ্যেমে তিন বছর আগে ভারতের হায়দরাবাদে গিয়েছিলাম। সেখানে বাসা বাড়ির কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশ তাকে আটক করে জেলখানায় পাঠায়। পরে জেল থেকে ‘প্রজ্বলা’ নামে ভারতীয় একটি এনজিও ছাড়িয়ে এনে তাকে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস বলেন, এসব যুবতীরা বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাচার হন। সেখানে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের একপর্যায়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সমন্বয়কারী রোকেয়া পারভিন বলেন, ভারতফেরত যুবতীদের ইমিগ্রেশন ও থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা যশোরে নিজেদের শেল্টার হোমে রেখেছি। এরপর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কেউ যদি আইনি সহায়তা চায় তাহলে তাদের এ সহায়তাও দেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই