ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সব ধরণের চালের মূল্যা কেজি প্রতি ৩/৪ টাকা করে বাড়ে। আম্পানের ধাক্কায় কাঙ্খিত আমন উৎপাদন হয়নি। করোনার কারণে গেল মৌসুমে কৃষক বোরোর ন্যায্য মূল্য পাইনি। সব মিলিয়ে বিশেষ করে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে দক্ষিণাঞ্চালের চার জেলায় ২ লাখ ৩৩ হাজার জমিতে বোরো আবাদে নেমেছে ৬ লাখ কৃষক।
পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোটা ও চিকন চালের মূল্যে বেড়েছে। বাজার দর স্থিাতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানী করছে। বাজারে চালের উচ্চমূল্য্ হওয়ায় মধ্যরবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনাঞ্চলের চার জেলায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে এ মৌসূমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। জেলাগুলো হচ্ছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, মৌসুমে ১০ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হবে। ইতিমধ্যেই ৮৩ শতাংশ বীজতলা সম্পন্ন হয়েছে।
নড়াইল জেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, জেলায় ৯০ শতাংশ বীজ তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪৭ হাজার জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে। নড়াইল সদর উপজেলায় বেশি জমিতে আবাদ হবে। কৃষকের আগ্রহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন বোরো উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদী।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মো. নূরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, সদর উপজেলায় বেশি জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে। জেলায় ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবারের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। কৃষককে উৎসাহিত করতে ৪০ মেট্রিক টন হাইব্রিড বীজ বিনামূ্ল্যে সরবরহে করা হয়েছে। ২০ হাজার কৃষক ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ পেয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা আশাবাদী মে মাসে বোরো কাটা শুরু হলে চালের বাজার স্থিতিশীল হবে।
খুলনা গেজেট / এমএম