যশোরের বেনাপোল রেলওয়ে অফিসারদের কার্ড পাস টিকিটের গোপন পাসওয়ার্ড চুরি করে অনলাইনে টিকিট কেটে তা আবার কালো বাজারে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছে একজন টিকিট বুকিং সহকারী।
ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোল রেলওয়ে ষ্টেশনের টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে। এ ঘটনায় বেনাপোল রেল ষ্টেশনে ডেপুটিশনে কর্মরত এনামুল হক মামুন নামে একজন টিকিট বুকিং সহকারীকে গত বুধবার (১৭ আগস্ট) চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি বুধবার ঘটলেও আজ শনিবার বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (১লা আগষ্ট-২০২২) ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন থেকে ইব্রাহিম নামে একজন টিকিট কালেক্টরের হাতে এ ঘটনাটি প্রথম ধরা পড়ে। তার পর বেড়িয়ে পড়ে থলের বিড়াল।
বেনাপোল রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে কর্মরত টিকিট বুকিং সহকারী গ্রেড-২ এনামুল হক মামুন গত ৭ জানুয়ারী ২০২২ বেনাপোল রেলওয়ে ষ্টেশনে ডেপুটিশনে যোগদান করেন।
এখানে যোগদান করার পর সে অফিসারদের গোপন কার্ড পাস ওয়ার্ড চুরি করে অফিসারদের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ৪ সিটের প্রতিটি কেবিন ৪ হাজার ৪ শত ৬৪ টাকায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে তার বিক্রিকৃত ৪ লাখ টাকার টিকিট ধরা পড়েছে কর্তৃপক্ষের হাতে। তাছাড়া সে টিকিট কার্ড পাসের মাধ্যমে ব্লক করে যাত্রীদের নিকট নগদ অর্থে কয়েক লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছে । তদন্ত ছাড়া টাকার পরিমাণ বলা সম্ভব নয়। তবে কর্তৃপক্ষ ধারনা করছেন মোটা অংকের সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সে টাকা আত্মসাৎ করেছে এটা নিশ্চিত।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুন জানান, আমার দোষ আমি স্বীকার করেছি অন্যায় হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাকে সাময়িক চাকুরি থেকে বরখাস্ত করে রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
পাকশিয়া রেলওয়ের বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন ঘটনাটি ঘটেছে এমন সত্যতার কথা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে বেনাপোলে ডেপুটিশনে কর্মরত একজন টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুনকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি