খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিশ্বকাপ বাছাই : মার্টিনেজের ভলিতে পেরুর বিপক্ষে জয় পেল আর্জেন্টিনা
বছরে আদায় ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা

বেনাপোল পৌর ট্রাক টার্মিনাল ঘিরে বেশুমার চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর পৌর ট্রাক টার্মিনাল ঘিরে চালকদের জিম্মি করে ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী চক্রের অবৈধ চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বিগত দিনে স্থলবন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো আন্দোলন করেছে। আবার জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু চক্রের সদস্যরা কোনোকিছুর তোয়াক্কা করছে না। তারা অবৈধভাবে বেশুমার চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। বছরে আদায় করছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অভিযোগে জানা যায়, বন্দরের পৌর ট্রাক টার্মিনালে ট্রাক রাখলে, আবার না রাখলেও টাকা গুনতে হচ্ছে চালকদের। এ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলেই চক্রের সদস্যরা ট্রাকের জানালার গ্লাস ভেঙে দেয়াসহ চালকদের মারপিট করে।

চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়ে সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন যশোর জেলা (ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ট্রাক ট্যাংকলরি, ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি। যার অনুলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।

ওই সংগঠনের বেনাপোল কার্যালয়ের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন গাজী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকার প্রতি বছর বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে সাড়ে ৫৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। কিন্তু এই বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন করতে স্থানীয় ট্রাক মালিক সমিতি ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠনের সাথে আলোচনা না করে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে স্থানীয় ৮/১০ জন সন্ত্রাসী পৌরসভার নামে বেনাপোল বাইপাস সড়কে ট্রাক চালক ও হেলপারকে লাঠিসোঠার ভয় দেখিয়ে বেনাপোল ট্রাক টার্মিনালে প্রবেশ করাতে বাধ্য করছে। এরপর তাৎক্ষণিক ট্রাক বের করে দিয়ে ট্রাক প্রতি ১শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। সেই হিসেবে প্রতিদিন ৫৫০টি ট্রাক চালককে জিম্মি করে ৫৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে দুর্বৃত্তরা। মাসে আদায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার। এ হিসেবে বছরে অবৈধ আদায় ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, যশোর জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি বন্দর হতে ট্রাকে পণ্য লোডের সময় ট্রাক টার্মিনাল ফি বন্দরের চার্জের সাথে ট্রাক প্রতি একশ’ চুয়াল্লিশ টাকা সত্তর পয়সা, প্রতি ট্রাকের আনলোড ফি ১৪৫ টাকা হারে এবং প্রতি বছর টোকেন ফি বাবদ ৪৮ হাজার টাকা সরকারি তহবিলে জমা হয়। এরপরেও কেনো বেনাপোল ট্রাক টার্মিনালের নামে মোটা অংকের টাকা চাঁদাবাজি করা হচ্ছে, এ প্রশ্ন উঠেছে ট্রাক চালক ও মালিকদের মাঝে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, যশোর জেলা (ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল বন্দর) ট্রাক ট্যাংকলরি (দাহ্য পদার্থ বহনকারী ব্যতিত) ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই একটি পক্ষকে ডাকা হয়। যেসব চালক বেনাপোল পৌর টার্মিনাল ব্যবহার না করবে তাদের কাছ থেকে টাকা না নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরে নিয়মবহির্ভূতভাবে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!