বৃহত্তর খুলনার বাগেরহাটের ফয়লায় নির্মিতব্য বিমান বন্দর প্রকল্পটি প্রত্যাহার/বাতিল না করার দাবি জানিয়েছে খুলনা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের।
সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আ ফ ম মহসীন ও সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বে (পিপিপি) ভিত্তিত্বে বিমান বন্দরটি নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হলেও কার্যকর বিনিয়োগকারী না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকল্পটি প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, এহেন অপ্রত্যাশিত ঘোষণা খুলনা অঞ্চলের মানুষের জন্য খুবই দুঃখজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। এটি লালিত স্বপ্ন ভঙ্গও বটে। কার্যকরী বিনিয়োগকারী না পেলে প্রয়োজনে রাজস্ব খাতের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, মোংলা বন্দর, খানজাহান আলীর মাজার, ষাটগুম্বজ, সুন্দরবনের পর্যটন, শিল্পনগরীর খুলনার শিল্প-বাণিজ্য সচল রাখা, মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ও অর্থনৈতিক জোন কার্যকর করা, এ অঞ্চলের প্রখর উর্বরা শক্তিসম্পন্ন বিস্তীর্ণ এলাকা বিবেচনায়Ñসর্বোপরি শিল্প-বাণিজ্যে পদ্ম সেতুর সুফল ভোগ করার জন্য খুলনায় একটি বিমান বন্দর অপরিহার্য। কেননা পদ্ম সেতু নির্মাণের ফলে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সুগমন ও সময়ানুকূল্য হলেও বিশেষ করে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক যাতায়াত ও সময় স্বল্পতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হলে ইতোপূর্বে জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় হওয়ায় বিপুল অঙ্কের অর্থের অপচয় হবে এবং অন্যদিকে অধিগ্রহণকৃত জমি অনাবাদি-অব্যবহৃত থাকবে। তাই দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলার গুরুত্ব বিবেচনায় এবং এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতি গতিশীল রাখতে খুলনায় একটি বিমান বন্দর সময়ের একান্ত দাবি যা জাতীয় অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। নেতৃদ্বয় এ ব্যাপারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার দুই বছর পর ৪১ দশমিক ৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তন হলে বিমানবন্দরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় খানজাহান আলী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর করার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার পর নতুন করে আরও ৬২৬ দশমিক ৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি