খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন

‘বিজয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকরা রূপসাকে কুরুক্ষেত্রে পরিণত করেছে’ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

রুপসা উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থীর বিপক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরাজিত প্রার্থী সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রুপসা উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সরদার ফেরদৌস আহম্মেদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইচগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুজ্জামান।

লিখিত বক্তব্যে আশরাফুজ্জামান বলেন, ৫ জুন রূপসা উপজেলা নির্বাচনে সরদার ফেরদৌস আহম্মেদের প্রতীক ছিল কাপ পিরিচ। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনি ৩টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। অল্প ভোটের ব্যবধানে তার পরাজয় হয়েছে। এই পরাজয় আগামী দিনের পথ চলায় সহায়ক হবে বিশ্বাস করে তিনি সকল ভোটারদের অভিনন্দন জানান। কিন্তু দুঃখজনক হলো বিজয়ী প্রার্থী এস এম হাবিব এবং তার সমর্থকরা ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথে রূপসা উপজেলাকে একটি কুরুক্ষেত্রে পরিণত করেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে কাপ পিরিচের সমর্থকদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকে এই পর্যন্ত উপজেলাধীন ৫টি ইউনিয়নে কাপ পিরিচের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার একটি বিবরণ তুলে ধরেন।

এরমধ্যে আইচগাতী ইউনিয়নে ১৯ জন কর্মী, সমর্থক, শ্রীফলতলা ইউনিয়নে ১০ জন কর্মী সমর্থকের উপর হামলা চালিয়েছে। ৭ জুন দুপুরে জুম্মার নামাজের পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদারের বাড়ি হামলা চালিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে।

নৈহাটি ইউনিয়নে ১৭ জন কর্মী সমর্থকের উপর হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী অনেকেই গৃহবন্দী করে রেখেছে। এদের মধ্যে কামাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়নের ৫ জন কর্মী সমর্থকের উপর হামলা চালিয়েছে। এই এলাকায় সন্ত্রাসীরা কাপ-পিরিচের অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে মারধোর করে অফিস লুটপাট করেছে। ঘাটভোগ ইউনিয়নে শিয়ালী বাজারে আসলামের বরফের দোকান তালা মেরে দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এসকল ঘটনা থানায় অবহিত করলে রূপসা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত বিষয়টি গড়িমশি করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। যে কারণে তাদের লোকজনের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন বাড়তে থাকে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাপ পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এমপিকে বিষয়টি বলেছি। আমরা দেখলাম তাকে বলে তার কোন প্রতিকার হয়নি বরং সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে। এর আগে গত সংসদ নির্বাচনে এরকম অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম চলেছে। উপজেলা নির্বাচনের পূর্বে আমরা যখন মাঠে কাজ করেছি, তখন আমার প্রতিপক্ষ যিনি ছিলেন তিনি প্রায়শই এমপির কথা বলতেন এবং তার কথা বলে মানুষকে ভয় দিতেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বলতেন আমি এমপির প্রার্থী। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা উনাকে জানানোর পরও প্রতিকার হয় না আরও বেড়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে এটা উনি কন্ট্রোল করতে চাচ্ছেন না।

খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন, এটা কোন দলীয় নির্বাচন ছিলো না। নির্বাচন দলীয় সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ বিজয় প্রার্থীর পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারা আমার দলের পুরাতন কর্মী। থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে, এখনো রুজু হয়েছে কিনা জানতে পারিনি। সবচেয়ে নারকীয় ঘটনা ঘটছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করছে আবার তাদেরই নামে উল্টা মামলা দিচ্ছে। এলাকার মানুষ আত্মরক্ষার্থে মাইক্রোবাসযোগে এলাকায় ছাড়ার চেষ্টা করছিল। সেই মাইক্রোবাস থেকে বের করে ৫ জনকে নির্মমভাবে কুপিয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি লুট হয়েছে। যাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে তারা থানায় ঢুকে অবস্থান করছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

খুলনা গেজেট/একরামুল হোসেন লিপু/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!