খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ২ নং বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ এর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আনছার উদ্দিন মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় লাখোহাটি চারবাড়ির মোড় সংলগ্ন পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনে পেশী শক্তিপ্রয়োগ, অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বাড়ি বাড়ি হামলা এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গেলে জীবননাশের হুমকিসহ ব্যাপক বোমাবাজি, গোলাগুলি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ভোটের দিন জোরপুর্বক পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার সুনিশ্চিত বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে । ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমার ও আমার সমর্থকদের উপর একের পর এক নেমে আসে পৈশাচিক নির্যাতন যা বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নেই। ইতিমধ্যেই আপনাদের লেখনি ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সর্বসাধারণ ও দেশবাসি যাহা অবগত হয়েছেন । তিনি বলেন, ভোটাধিকারই নেতা পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম, যাহা পৈশাচিক নির্যাতনের মাধ্যমে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন গাজী জাকির হোসেন। যেটা অগনতান্ত্রিক ও আইন বর্হিভুত । ভোটেরে এক সপ্তাহ আগে থেকে গাজী জাকির হোসেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার সমার্থকদের উপর হামলা ও ভোটকেন্দ্রে না যেতে দেয়ার হুমকি প্রদান করে । ভোটের দিন সকাল ১১ টার সময় আমি নিজে ৫ নং ওয়ার্ডের বারাকপুর উত্তরপাড়া ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে গেলে আমার ২ টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয় গাজী জাকির হোসেনের লোকজন।
এরপর গাজী জাকির হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আজাদ ও তার ভাই সাইদুল বারাকপুরের আলম, পাভেল গাজী, হিমেল গাজী, জাহাঙ্গির, সেলিম, ইলিয়াজ, ইখলাছসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার সমর্থকদের উপর নির্বিচারে গুলি, বোমা হামলা, ককটেল বিষ্ফোরণ করে আতংক সৃষ্টি করে। যার ফলশ্রুতিতে খলিল শেখের পুত্র ইমরান শেখ (২৫), শহিদ শেখের পুত্র আহাদ শেখ (২৪), মহাদেল মল্লিকের পুত্র কামাল মল্লিক (৩০) এবং ওলিউল্লাহর পুত্র মোঃ আলমগীর (৩৮) বোমের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়।
প্রথমে তাদেরকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়াতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ টি ককটেল উদ্ধার করলেও ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি । তিনি বলেন, লাখোহাটি পুর্বপাড়া ২ নং ওয়ার্ড ও ৩নং ওয়ার্ডের কামারগাতি কেন্দ্রে মহিলা বুথে পোলিং অফিসার গোপন কক্ষে যেয়ে সেখানে মহিলাদের হুমকি ধামকি দিয়ে জোর পুর্বক ভোট আদায় করে ।
আনছার শেখ আরও বলেন, বর্তমানে আমার সকল সমর্থকরা এলাকায় চলাফেরা করতে পারছেনা। তাদের বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এছাড়া পুণরায় নির্বাচন ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আইউব শেখ, আকতার বিশ্বাস, মোঃ ইলিয়াজ শেখ, মোঃ রসুল শেখসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
খুলনা গেজেট/ টি আই