দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তারা প্রথম শিরোপা জেতায় বুধবার দেশে ছাদখোলা বাসে বিজয় মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জয়ী দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আপাতত কোন অর্থ অনুদান দিতে পারছে না। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা অনুদান একসঙ্গে করে সকল খেলোয়াড়, স্টাফকে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
ফুটবলাররা দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা রাজধানী জুড়ে জয়যাত্রা শেষে বাফুফে ভবনে যান। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমর কাছে টাকা নেই, আপনারা সবাই তা জানেন। তবে আমরা তাদের উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। আমার দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট (আতাউর রহমান মানিক ও সালাম মুর্শেদী) এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। আরও বাইরে থেকে আসছে। সব অনুদান একসঙ্গে করা হবে। সবার মধ্যে তা সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। এর বাইরে আমরা স্পন্সর সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো।’
কাজী সালাউদ্দিন জানান, মেয়েরা সাফ জিতেছে। এবার তাদের লক্ষ্য এশিয়ার আসরে ভালো করা, ‘আপনারা জানেন, এরই মধ্যে আমি একটি বিবৃতি দিয়েছে যে, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর। দক্ষিণ এশিয়া ছেড়ে এখন আমরা অন্য প্রতিযোগিতা নিয়ে চিন্তা করবো। এরপর আমরা থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে খেলবো। হয়তো দু-চার গোলে হারব। তবে তাদের সঙ্গে খেলাটাই আমার পরবর্তী কর্মসূচি।’
সাফ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের প্রশংসা করেছেন বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন। ছোট ছোট ফুটবলারদের সাবিনা এক সুতোয় বেধেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি, ‘সাবিনা দেশের সেরা নারী ফুটবলার। সে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তৈরি হওয়া সেরা ফুটবলার। অসাধারণ। সে ওই ছোট ছোট মেয়েগুলোকে একসঙ্গে করে খেলায়। ওদের পরিণত করেছে। ছোটন (কোচ) খুব ভাগ্যবান যে, ওর মতো অধিনায়ক পেয়েছে।’
বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়েদের জয়ের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি দেশে থাকলে এই উৎসবের রঙ ভিন্ন হতে পারতো। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশে আসলে কথা বলে মেয়েদের পুরস্কৃত করার বিষয়টি আলোচনা করবেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাবিনা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল ও বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের হাতে সাফের শিরোপা তুলে দেন।