খুলনার নতুন বাজারে গৃহপরিচারিকা শামসুন নাহার এক কেজি আলু কিনেছেন। তিন মাস আগে গৃহস্বামীর পরিবারেরর জন্য প্রতি সপ্তাহে ৫ কেজি আলু কিনতেন। শেখপাড়া বাজারে সওদা করতে আসা গৃহিনী শাহিদা খাতুন আলু কেনেননি, কারণ দাম বেশি। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৪৪-৪৫ টাকা, খুচরা বাজারে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার প্রতি কেজি আলুর মূল্য বেঁধে দিয়েছেন ৩০ টাকা। এ দামে রূপসা সান্ধ্য বাজার, নতুন বাজার, শেখপাড়া বাজার, নিউমার্কেট কাঁচা বাজার ও কদমতলা পাইকারি বাজারে আলু কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার সকালে নতুন বাজারে কথা হয় গৃহ পরিচারিকা শামসুন নাহারের সাথে। তিনি জানান, ২ মাস পূর্বে গৃহস্বামীর পরিবারের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৫ কেজি আলু ক্রয় করেতেন। কিন্তু বর্তমানে আলুর দাম বেশি হওয়ায় এক কেজির বেশি আলু কেনেনি। তিনি গৃহস্বামীর সংসারের জন্য ২শ’ টাকার অন্যান্য কাঁচামাল কিনেছেন। শেখপাড়া কাঁচা বাজারে এসেছিলেন শাহিদা খাতুন, তিনি বাজারে জন্য অন্যান্য কাঁচামাল ক্রয় করলেও আলু ক্রয় করেননি। কারণ আলুর দাম বেশি।
নতুন বাজারের আলু বিক্রেতা লুৎফর রহমান জানান, আগে দৈনিক ১ মন আলু বিক্রি করতেন। বর্তমানে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি প্রতিদিন ৫-১০ কেজি বিক্রি করেন। আলুর দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতারা এখন বেশি আলু ক্রয় করতে চায় না।
শেখপাড়া বাজারের আলু বিক্রেতা খোকন সরদার জানান, মূল্য বৃদ্ধির পূর্বে দৈনিক দেড় মণ আলু বিক্রি করতেন। বর্তমানে নতুন আলু ৫০ টাকা হওয়ায় তা ক্রেতারা ক্রয় করতে চান না। তাছাড়া শাকসব্জির দাম কম হওয়াতে তার আলু বিক্রি কমে গেছে।
নিউমার্কেটের দোকানী তাপস জানান, পুরাতন আলু তার দোকানে নেই। নতুন আলু ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের সব্জি নিম্নমুখি হওয়ায় ক্রেতারা বেশী দাম দিয়ে আলু কিনতে রাজি হয়না।
কদমতলার পাইকারি ব্যবসায়ী আমিনউল্লাহ ভান্ডারের মালিক রেজাউল কবির জানান, রংপুর ঠাকুরগাও ও নিলফামারি থেকে নতুন আলু আসছে। প্রতিদিন কদমতলা পাইকারি মোকামে ৪০ ট্রাক আলুর চাহিদা হলেও প্রতিদিন গড়ে ১৫ ট্রাক আসছে। এতে চাহিদা পুরণ হচ্ছে না। গত সপ্তাহের শনিবারে পুরাতন আলু প্রতি কেজি ৪৩-৪৪ টাকা, নতুন আলু ৪৪-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান, জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে আলুর মূল্য কমতে শুরু করবে। তখন ক্রেতারা ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ক্রয় করতে পারবে।
খুলনা গেজেট/কেএম