যশোরের শার্শায় ফেইসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে দোষারোপ করে বিষপানে প্রবাসীর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় স্ত্রীসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। নিহত রফিকুল ইসলাম শার্শা উপজেলার নাভারণ কাজিরবেড় গ্রামের দিদার আলীর ছেলে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, নিহতের স্ত্রী ও কাজীরবেড় গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে মনিরা ইয়াসমিন ও তার মা আয়শা খাতুন, যাদবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন, ঝিকরগাছা উপজেলার মাটশিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার মল্লিকের ছেলে সাইদুর রহমান, শার্শার গাতীপাড়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সাইদুল ও একই গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আব্দুল হক।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শার্শা থানার এসআই মেহেদি হাসান। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় শার্শা থানার চটকাপোতা গ্রামের মৃত কাউসার আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত রফিকুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় থাকা অবস্থায় দেশে স্ত্রীর কাছে ১৪ লাখ টাকা পাঠান। ওই টাকাসহ স্ত্রী মনিরা যশোর শহরের শংকরপুরে একটি ভাড়া করা বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার ১৩ দিন আগে দেশে ফিরে রফিকুল স্ত্রীকে আনতে ওই বাড়িতে যান। কিন্তু মনিরা বা তার মেয়ে ফিরে আসতে রাজি হয়নি।
এসময় মনিরাসহ অন্য আসামিরা রফিকুলকে বেদম মারপিট করেন ও তাকে বেঁচে না থেকে মরে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন। এটা সহ্য করতে না পেরে ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে ফেইসবুক লাইভে এসে বিষপান করেন তিনি। এর আগে তিনি আত্মহত্যার কারণ ও দায়ীদের নাম উল্লেখ করেন। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পরদিন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা দিদার হোসেন বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় স্ত্রীসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই