যশোরের চৌগাছায় দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা। এ কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ১৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ১১১টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আছেন। ২৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ প্রায় পাঁচ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া উপজেলায় ৭৩৫ জন সহকারী শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৬৭৮ জন। ৫৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুর আলম জানান, এ উপজেলায় প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের পদ কিছু খালি রয়েছে। শূন্য এ পদগুলো অচিরেই পূরণ হয়ে যাবে। সরকার এ সমস্ত পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্যে ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যার আবেদনও ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তি দেয়া পদে শিক্ষক নিয়োগ হলে নতুন উদ্যোমে চলবে এ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, উচ্চমান সহকারী একজন ও অফিস সহকারী ২ জন ও অফিস সহায়ক একজনের পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এতে আমার দপ্তরে যেমন অফিসিয়াল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসনিক কাজে সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ ও ৫৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে জনবল সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি