আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ বর্ষার আগে সংস্কারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আয়োজনে শহরের পাকাপুলের উপর এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পি, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সহ-সভাপতি এড. ওসমান গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আলী সুজয়, দপ্তর সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, শিক্ষা গবেষণা সম্পাদক জাহিদা জাহান মৌ, ডাঃ শফিকুল ইসলাম, প্রতাপনগরের বাসিন্দা মিয়ারাজ হোসাইন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম।
বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৫ মে আম্ফানের আঘাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরসহ এলাকার ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হাজার হাজার বাড়ি ঘর। ৯ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত প্রতাপনগরের গৃহহারা মানুষ তাদের বসত ভিটায় ফিরতে পারেনি। এখনো সেখানে জোয়ার ভাটা ওঠা নামা করে। এক অবর্ণীয় দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন করছে সেখানকার মানুষ। অথচ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেই। প্রকৃতপক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনেই দীর্ঘ ৯ মাসের সংস্কার হয়নি প্রতাপনগরের কুড়িকাউনিয়া ও হরিষখালির ক্ষতিগ্রস্ত ভেড়িবাঁধ।
বক্তারা আরো বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন উত্তোলন করেন। অথচ মানুষ পানিতে ডুবে মরলেও ভেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য কোন তোড়জোড় নেই। তারা বেতন নেন আর এসিরুমে আরামে থাকেন। মানুষ বাঁচলো কি মরলো সেটি নিয়ে ভাববার সময় তাদের নেই। ওই ভাঙ্গনে ৩জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও বাকী এক জনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বর্ষার আগেই প্রতানগরের বাঁধ নির্মান না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির গ্রহণ করা বলে জানিয়ে দ্রুত বাধ নির্মাণের দাবি করেন বক্তারা।
খুলনা গেজেট/এমএম