আর মাত্র তিন দিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাগেরহাটের শরণখোলার উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় সরব নৌকার প্রার্থী। অন্যদিকে ধানের শীষ ও লাঙ্গলের প্রার্থীরা রয়েছেন নীরব। সরকারী দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী রায়হান উদ্দীন আকন (শান্ত) প্রতিদিন নিয়ম করে গণসংযোগ করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। করছেন গণসংযোগ, মিছিল মিটিং আর সমাবেশ।
অন্যদিকে বিএনপি’র খান মতিয়ার রহমান ও জাতীয় পার্টীর অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলামকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। খান মতিয়ার রহমান একদিন মাত্র রায়েন্দা বাজারে লিফলেট বিতরণ করলেও আর কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যদিকে শহিদুল ইসলামের প্রকাশ্য কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এই ‘নীরবতাকে’ ‘হারার আগে হেরে যাওয়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াদুদ আকন খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে আর শান্ত’র পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের কারণে মানুষ অন্য কাউকে ভোট দিবে না। অন্য প্রার্থীরা এটা বুঝতে পেরে মাঠ ছেড়ে দিয়েছে।’
কয়েকজন বিএনপি কর্মী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এখন তো মিছিল মিটিং করা যাচ্ছে, সুযোগ ছিল দলকে গুছানোর। জনগণ ভোট দিতে পারলে আমরাই জিততাম। কিন্তু প্রার্থী আমাদের হতাশ করেছে। এ বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেও খান মতিয়ার রহমান ও শহিদুল ইসলামের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
খুলনা গেজেট / এমএম