বৃহত্তর খুলনার একসময়ের জনপ্রিয় বাম নেতা ও প্রগতিশীল রাজনীতিক বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়ার এস এম মোশার্রফ হোসেন চেয়ারম্যান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ছিলো ৭৬ বছর। সে দুই ছেলে এক মেয়ে, স্ত্রী ও এক ভাই রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বাহিরদিয়ায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানির অনুসারী এসএম মোশার্রফ হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি শুরু করেন, খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ছাত্রাবস্থায় বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ও জাতীয় ছাত্র দলের বিভিন্ন পদে থেকে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন, পরবর্তীতে ভাসানী ন্যাপের খুলনা জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ফকিরহাট থানা বিএনপির সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করেন।
৬৯ এর গণ অভ্যুাত্থানে ও আইয়ূব বিরোধী আন্দোলন, ৭২-৭৫ সালে বাকশাল বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা পালনকালে তিনি রক্ষিবাহিনী ও পুলিশী নিপীড়নের শিকার হন ও কারা নির্যাতন ভোগ করেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত পার্টির অপতৎপরতার কারনে তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। গনমুখী সদা হাস্যোজ্জল, পরোপকারী, সৎ সাহসী নিষ্ঠাবান জনদরদী এস এম মোশার্রফ হোসেন দীর্ঘ ১৮ বছর বাহিরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব¡ পালন করেছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপি মরহুম এস এম মুশার্রফ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি