যশোরে কথিত পুলিশের সোর্স সন্দেহে এক যুবকের নতুন অ্যাপাচি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ওই মটরসাইকেল যে গ্যারেজে ছিলো, সে গ্যারেজেরও কিছু মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ হাবিব নামে একজনকে আটক করেছে। সে শহরের বেজপাড়া মসজিদ বাড়ি রোডস্থ মৃত রোস্তম আলীর ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বেজপাড়া বিহারী কলোনার আলমের ছেলে রাব্বী, বেজপাড়া আজিমাবাদ কলোনীর বাবলুর ছেলে খুরশিদ, আসলাম কসাইয়ের ছেলে জনি, কালু ও মৃত আসলাম কসাইয়ের ছেলে আকাশসহ অজ্ঞাত ২/৩জন। যশোর শহরের বকচর হুশতলা র্যাব অফিসপাড়ার আব্দারের বাড়ির ভাড়াটিয়া শফি শেখ এর ছেলে রমজান আলী বাদী হয়ে বুধবার রাতে এ মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। তারা এলাকার রমজান আলীকে পুলিশের সোর্স বলে সন্দেহ করে। তাদের ধারণা রমজান আলী তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে তথ্য দেয়। যার কারণে বেশ কয়েকদিন যাবত বাদীকে ক্ষতি করার জন্য তারা হুমকি দিচ্ছিল।
বুধবার গভীর রাতে রমজান আলী শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের রেজাউল করিম সোহাগের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। এসময় আসামিরা তার বাড়ির সামনে পেয়ে বলে তুই আমাদের ব্যাপারে পুলিশের কাছে তথ্য দিস। তোকে দেখিয়ে দেবো। রমজান আলী আসামিদের কথায় কোন প্রতিবাদ না করে মোটর সাইকেল চালিয়ে রেজাউল করিমের একতলা ভবনের রিকশা রাখার গ্যারেজে মোটরসাইকেল রেখে সোহাগের বাসায় খাওয়া দাওয়া করে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ওই দুর্বৃত্তরা তার অ্যাপাচি গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে রমজান আলী ও রেজাউল করিম সোহাগ ঘটনা দেখে দ্রুত বাইরে আসলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলটি পুড়ে যায়।
বাদী অভিযোগে আরো বলেন, আগুনে তার ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার মোটর সাইকেল ও সোহাগের ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ব্যাটারি চালিত রিকশা, গ্যারেজ ঘর পুড়ে ১ লাখ টাকাসহ মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় পরদিন মামলা রেকর্ড হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারভূক্ত আসামি হাবিবকে গ্রেফতার করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম