কেশবপুরের পল্লী চিকিৎসক সুব্রত কুন্ডুকে হত্যার দায়ে আকবর আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে আদালত। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আকবর আলী কেশবপুরের দত্তনগর গ্রামের মৃত রফিউদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কেশবপুরের শ্রীরামপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সুব্রত কুন্ডু মোবাইলে লোড ও বিকাশের ব্যবসা করতেন। ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ রাতে মির্জানগর বউবাজারের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। মির্জানগর গ্রামের সাবেক মেম্বর সাত্তার খানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে পেছন থেকে গুলি করে। গুলি পিঠে লেগে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা কার্তিক চন্দ্র কুন্ডু অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে পরদিন কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই আকবর আলী, ইউনুচ আলী ও তার স্ত্রী খুকু মনিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন এসআই জাহাঙ্গীর আলম। মামলার বাদীর চার্জশিটের উপর নারাজি আবেদনের পর সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মোস্তফা কামাল আকবার আলী ও খুকু মনিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্চশিট জমা দেন। মামলার তদন্ত চলাকালে ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ যশোর-মাগুরা মহাসড়কে ডাকাতি করার সময়ে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ইউনুস আলী নিহত হওয়ায় তার অব্যাহতির আবেদন করা হয়। চার্জশিটে আকবর ও ইউনুচ আলী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সুব্রত কুন্ডুকে গুলি করে হত্যা করেছিল। একই সাথে ইউনুচ আলীকে পলাতে সহযোগিতা করার তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আকবর আলীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড-, ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আকবর আলী পলাতক রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি