খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকায় ভোগান্তিতে কেশবপুর সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকরা

মেহেদী হাসান জাহিদ, কেশবপুর

পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে কেশবপুর সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকরা। সেবা নিতে এসে সাইকেল-মোটর সাইকেল রাখতে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। রাষ্ট্রীয় মালীকানাধীন এ ব্যাংকের সেবার মান অক্ষুন্ন রেখে গ্রাহক অনুসারে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থাপন করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও অবসরভাতা প্রদান, সরকারী ও বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ভাতা প্রদান, সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয়, সরকারি খাদ্যশস্য ক্রয় বিল পরিশোধ, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ, সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম, হজ্জ্ব ও জাকাত ফান্ডের অর্থ গ্রহণসহ সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আপামর জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করে আসছে। এসব সেবা নিতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ কেশবপুর সোনালী ব্যাংকে আসেন। পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। গত ১ বছরে প্রায় ১০ গ্রাহকের সাইকেল-মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। একাধিক গ্রাহকরা সোনালী ব্যাংকের কেশবপুর শাখায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্তা চালুর দাবি করেন।

সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা পাঠাতে সোনালী ব্যাংকে যেতে হয়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকা মোটর সাইকেল রাখা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গ্রাহকের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা রাখার দাবি করেন তিনি।

মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যাংকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করি। ব্যাংকের নীচে মোটর সাইকেল রাখার ভালো জায়গা নেই। ছোট একটু জায়গা থাকলেও সেখানে ৫/৬ টি বাইক রাখা গেলেও সেখানে কোন নিরাপত্তা নেই। যে কারণে অন্য দোকানের সামনে মোটর সাইকেল রেখে উপরে ব্যাংকে যেতে হয়। চুরির ভয়ে ঠিকমত কাজ করতে পারিনা। দ্রুত কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল হয়ে যায়।

এব্যাপারে সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার ম্যানেজার ফারুকুজ্জামান বলেন, গলির মধ্যে গ্রাহকের সাইকেল ও মটর সাইকেল রাখার ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হলেও রয়েছে। শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদানের সময় কিছুটা সমস্যা হয়। ত্রিমোহিনীর মোড়টি কেশবপুরের গুরুত্বপূর্ন স্থান হওয়ায় অন্য কোথাও শাখা স্থানান্তর করা কঠিন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!