মুস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারে তিন বলের ব্যবধানে দুইবার জীবন পান নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। প্রথমে লিটন দাস ও পরে মুশফিকুর রহিম হতাশ করেন বাংলাদেশকে। তখন রানের খাতাই খুলতে পারেননি এডওয়ার্ডস। সেই এডওয়ার্ডস শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস।
ক্যাচ ছেড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ক্যাচ মিসের সঙ্গে মাঠের ফিল্ডিংয়েও নিখুঁত ছিল না বাংলাদেশ। ফলে একপর্যায়ে ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডসের ইনিংস থেমেছে ২২৯ রানে। ইডেন গার্ডেনসের আজকের উইকেট কিছুটা ধীরগতির হওয়ায় লক্ষ্য তাড়া সহজ হওয়ার কথা নয় বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য আরো দারুণ ছিল। চার রানের মধ্যে দুই ডাচ ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। এরপর ওয়েসলি বারেসি আর কলিন অ্যাকারম্যানের বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। এই জুটি থেকে আসে ৫৭ রান।
বারেসিই মূলত পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছেন। তাঁকে ৪১ রানে থামান মুস্তাফিজ। এরপর সাকিব তুলে নেন অ্যাকারম্যানকে।
এরপর বাস ডি লিডকে ১৭ রানে ফিরিয়ে ডাচদের দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার আভাস দেন তাসকিন। সেটা অবশ্য আর হয়ে ওঠেনি।
সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গে এডওয়ার্ডসের ষষ্ঠ উইকেট জুটি বাংলাদেশকে হতাশ করেছে। এই জুটি থেকে এসেছে ৭৮ রান। এডওয়ার্ডসকে ফেরান মুস্তাফিজ। সঙ্গী হারিয়ে সিব্র্যান্ডও পরের ওভারে অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ৩৫ রানে। কিন্তু শেষ দিকে লগান ভান ঝোড়ো ইনিংস ডাচদের রান ২২০ ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করে। ১৬ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ভান বিক।
স্কোর: নেদারল্যান্ডস ৫০ ওভারে ২২৯/১০ (ফন বিক ২৩*, ফন মিকেরেন ০, আরিয়ান ৯, শারিজ ৬, এঙ্গেলব্রেখট ৩৫, স্কট এডওয়ার্ডস ৬৮, বিক্রমজিৎ ৩, ম্যাক্স ও’ডাউড ০, বারেসি ৪১, অ্যাকারম্যান ১৫, বাস ডি লিড ১৭)
খুলনা গেজেট/কেডি