খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর কর্মকর্তা এসএম সাইফুল্লাহ পলাশের স্ত্রী পায়েল (২৮) কে প্রতারণার অভিযোগে আটক করেছে ভূক্তভোগীরা। কুয়েটসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আড়ংঘাটা থানায় নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতী গ্রামে কয়েকজন ভুক্তভোগী খবর পেয়ে গ্রামের মধ্যপাড়া জালাল ফকিরের বাড়িতে তাকে আটক করে রাখে।
কুয়েট কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ পলাশ জানান, তার স্ত্রী দিলারা জাহান পায়েল মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে একটি পক্ষ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা লেনদেন করেছে। তবে এর সাথে তিনি নিজে জড়িত নন। বরং বিষয়টি জানার পর তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় জিডি করেছেন (যার নং ১১৮৪)।
এ ব্যাপারে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রেজাউল করিম বলেন, এলাকাবাসীর খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে পায়েল নামে এক নারীকে আমরা উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে, তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এ বিষয়ে কুয়েটের জনসংযোগ দপ্তরের সহকারি পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার জানান, এসএম সাইফুল্লাহ পলাশ ১৫/১৬ দিন ধরে ছুটিতে রয়েছেন। তিনি চাকুরী থেকে অব্যাহতি নেওয়ার একটি আবেদন করেছেন। আর তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে এক নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে ওই কমিটি এখনো রিপোর্ট জমা দেয়নি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, কুয়েটের রেজিস্ট্রার ভাইস চ্যান্সেলের পক্ষে গত ২১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে খানজাহান আলী থানায় একটি জিডি করেন, যার নং-৯৮০। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, কুয়েটের কিছু সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকের নিকট হতে বড় অংকের অর্থ সংগ্রহ করছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এতে কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
খুলনা গেজেট / এমএম