জমে উঠেছে চলমান বিপিএল। গতকাল ফরচুন বরিশালকে ১ উইকেটে হারিয়ে টেবিল টপার হিসেবে এখনও শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। তামিম ইকবালের দলকে হারানোর পেছনে বড় ভূমিকায় ছিলেন রংপুরের পেসার আবু হায়দার রনি। ১২ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রনি জানালেন দলের বাইরে থাকা সুখকর নয় তার কাছে।
রনি বলেন, ‘আসলে বাইরে বসে থাকা কখনোই সুখকর না। এটা ব্যাক অব দ্যা মাইন্ডে কাজ করে যে বাইরে বসে আছি। আমি চেষ্টা করছিলাম প্রাকটিসে যেন ভালো করি। ম্যানেজমেন্ট যেন আমার ওপর বিশ্বাস করে যে আমি পারব। আমি আমার চেষ্টাটাই হয়তোবা করেছি। উনারা ভালোভাবে নিয়েছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি যেখানেই সুযোগ পাব আমি যেন আমার সেরাটা দিতে পারি নিজের সাথে কখনও চিট করি না।’
ম্যাচসেরা হতে পারবেন ম্যাচের আগে চিন্তা করেছিলেন কি না এমন প্রশ্নে রনি বলেন, ‘আসলে ম্যাচ শুরুর আগে কেউই চিন্তা করে না আজকে আমি এত ভালো করব বা ম্যাচসেরা হবো। ব্যাক অব দ্যা মাইন্ডে থাকে আমি ভালো করার জন্য নেমেছি। আমি যেন দলকে ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স দিতে পারি। আমার এক ওভারেই হয়ত আজকে ম্যাচ ঘুরে গেছে। এইটাই আসলে সবাই চিন্তা করে আমি যেন দলকে সাহায্য করতে পারি। যদি ম্যাচ হেরে যেতাম তাহলে আমার ৫ উইকেটের কোনো দাম থাকত না। দলের জন্য ছোট ছোট অবদান অইটাই অনেক বড় বিষয় ম্যাচ জেতার জন্য।’
নিজের এমন জাদুকরী বোলিং নিয়ে রনি জানান, ‘আমার প্ল্যান ছিল একদম সিম্পল। আমরা দেখছিলাম যে উইকেটটায় ব্যাক অব দ্যা লেন্থে যদি আমরা হিট করি তাহলে একটু বাউন্স ছিল অইটাই প্ল্যান ছিল আমি যেন উইকেট বরাবর হার্ড লেন্থে করতে পারি। ব্যাটার যেন আমাকে থ্রু দ্যা লাইন খেলতে না পারে। এটাই আমার প্ল্যান ছিল। আর আমি বেশি কিছু চিন্তা করি নাই। একটা প্ল্যানে অটল ছিলাম এজন্য হয়ত আমি সফল হয়েছি।’
চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে রনি বলেন, ‘উইকেটটা আসলে আমি মনে করি ব্যাটারদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। শুরুতে উনারা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। এরপর আমরা যেভাবে কামব্যাক করলাম। আমাদের জন্য খুবই ভালো ছিল। যে উইকেট ছিল শিশির ছিল একটু স্কিড করছিল বল। পেস বল ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল।’
খুলনা গেজেট/ এএজে