নগরীতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মালামাল চুরির ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গৃহিনী আফরোজা সুলতানা। চোর ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে নগরীর ৫/২ নং ইউসুফ রোড়ের জনৈক নুরুল হকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন এই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার দম্পত্তি। স্বামী জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কারণে বেশীরভাগ সময়ে দেশের বাইরে অবস্থান করেন। ওই বাড়িতে একমাত্র মেয়ে সানিয়া জান্নাত রাহমিকে নিয়ে ছিল তার বসবাস।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে মেয়ে জামা কেনার বায়না ধরে। জামা কিনতে মেয়েকে সাথে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঘরে তালা দিয়ে মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত সাড়ে দশটার দিকে এসে দেখেন ঘরের ভেতর দিয়ে ছিটকিনি দেওয়া। সাথে সাথে মাকে ফোন দেন আফরোজা। ঘরের ভেতরে এসে দেখেন আলমারি ভাঙ্গা। চোররা সেখান থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
আফরোজার মা সুফিয়া বেগম বলেন, চোর খুব পরিচিত। আমার মেয়ের কাছে বাইরের কেউ আসেনা। বাড়িতে না থাকার সুযোগে চোর এ ঘটনা ঘটিয়েছে। চলে যাওয়ার সময় তারা বারান্দার গ্রীল কেটে পালিয়ে যায়। তবে গ্রীল কাটার শব্দ আশপাশের কেউ শুনতে পায়নি। ঘর চুরি হওয়ার পরপর আমার মেয়ে শরীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে সুস্থ হলে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু হানিফ বলেন, মংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। আশপাশে সোর্সের মাধমে সংবাদ নেওয়া হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত চোর আটক হবে বলে তিনি আশাবাদি।
খুলনা গেজেট/ এস আই