খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র দেশে ব্যবসায় পরিবেশ নিশ্চিতের অন্যতম বাধা : সিপিডি
  সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তার স্বামীর পাসপোর্টের আবেদন স্থগিত

দুর্নীতি মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাবসহ ছয়জন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

নড়াইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ছয় জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার তারা যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক যশোরে পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম।

আত্মসমর্পণ করা অপর আসামিরা হলেন, নড়াইল পৌরসভার সাবেক সচিব শফিকুল আলম লিটু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আহম্মদ আলী খান, বেলায়েত হোসেন, হাট বাজারের ইজারাদার রফিকুল ইসলাম ও ইজাজুল হাসান বাবু।

দুদকের পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম জানান, সোহরাব হোসেন বিশ্বাস নড়াইল পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন অন্য আসামিদের সহায়তায় হাট বাজার ইজারায় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট দুদক নড়াইল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যশোরের স্পেশাল জজ আদালত সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ সাত আসামির প্রত্যেককে ৪২০/১০৯ ধারায় তিন বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, এক লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

ওই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ উল্লিখিত ছয়জন। কিন্তু উচ্চ আদালত তাদের সাজা বহাল রাখেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামি যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!