খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে; আনিসুল হকসহ ১৩জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

দুর্নীতির অভিযোগে চৌগাছায় ইউপি সদস্য সাময়িক বহিষ্কার

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের (জামিরা গ্রাম) ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনারকে সাময়িক বরখস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

চালের কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কাবিখা, ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়ার নাম করে ওয়ার্ডের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাক আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের ইপ-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৪৬,০১৭,০২৭,০০,০০,০২৮,২০১৪(অংশ-১)-১৯৬ প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফুলসারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আনার ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষের মাঝে চালের কার্ড, বয়স্ক ভাতার কার্ড, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কাবিখা, ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়ার নাম করে টাকা গ্রহণ করেন।

দিনের পর দিন ভুক্তভোগীদের কোন কার্ড না দেয়ায় গ্রামের শরিফ হোসেন গত বছরের ৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। দুদকের পক্ষ থেকে সেটি স্থানীয়ভাবে তদন্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠানো হয়। ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান সেটি তদন্ত করেন। তদন্তকালীন গত বছরের ১১ নভেম্বর মেম্বর আনোয়ার হোসেন দুর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করে তার পক্ষে একটি গণস্বাক্ষরসহ বক্তব্য পেশ করেন। ১৮ নভেম্বর গ্রামের শতাধিক ব্যক্তির গণস্বাক্ষরসহ স্থানীয় আলমগীর হোসেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার নিকট একটি আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মেহেদি হাসান ওই বছরের ২৫ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে তিনি বলেন, গ্রামের ৩৫-৪০ জন ব্যক্তির উপস্থিতিতে তদন্ত করি। এসময় টাকা নেয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তদন্ত কাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য এলাকার জনগণকে ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে, স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে গণস্বাক্ষরসহ বক্তব্য পেশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ ওই ইউপি সদস্যকে সাময়িক বহিস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ভাতা দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগে প্রশাসনিক দৃষ্টিকোনে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, সেহেতু সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী উলে­খিত ইউপি সদস্যকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনামুল হক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!