চার ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই, তাই মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। পিএসজির সামনে সুযোগ ছিল সে ম্যাচগুলো উপভোগ করার, তবে তারা সেটা পারছে কোথায়!
গতরাতে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে দুই গোলের লিড পেয়েও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র করতে হয়েছে তাদের।
অবশ্য শেষের মতো ম্যাচের শুরুটাও খুব জঘন্যভাবে করেছিল পিএসজি। ম্যাচের বয়স যখন মাত্র ৩ মিনিট, তখনই স্ত্রাসবুর্গের কেভিন গামেইরোর গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। স্ত্রাসবুর্গের পেরিন পিএসজির রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দুর্দান্ত এক থ্রু বল বাড়ান গামেইরোর উদ্দেশ্যে, আর সেই বল থেকে বেশ কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকেই পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমাকে পরাস্ত করেন তিনি।
শুরুতেই গোল হজম করে কিছুটা হকচকিয়ে যায় মরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। তবে ২৩ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণ থেকে এই মৌসুমে পিএসজির আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা এমবাপে দলকে সমতায় ফেরান। ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে উইংব্যাক আশরাফ হাকিমির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। বাম পাশ থেকে ছয় ইয়ার্ড বক্সের মাঝে ফাঁকায় থাকা হাকিমিকে মাপা পাস বাড়ান এমবাপে, সেখান থেকে বল জালে জড়াতে হাকিমির মোটেই বেগ পেতে হয়নি। এর মিনিট চারেক পরেই আবারও স্ত্রাসবুর্গের গোলে হানা দেন এমবাপে। স্ত্রাসবুর্গ ডিফেন্ডার জিকুর ভুল ব্যাকপাস ধরে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশে ম্যাচ যেন স্বাগতিক স্ত্রাসবুর্গের নাগালের বাইরে নিয়ে যান।
তবে গল্পের তখনো বেশ অনেকটাই বাকি! ৭৫ মিনিটে পিএসজির বক্সের ভেতর স্ত্রাসবুর্গের দিয়ালোর হেড পিএসজি মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তির গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ভেরাত্তির এই আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফিরে আসে স্ত্রাসবুর্গ। আর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অ্যান্থনি চাচি দুর্দান্ত ফিনিশে চূড়ান্তভাবে হতাশ করেন চ্যাম্পিয়নদের। দুই গোলের লিড খুইয়ে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় প্যারিসিয়ানদের। তবে এই এক পয়েন্টের সুবাদে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে থাকা স্ত্রাসবুর্গের আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার আশা টিকে রইল।