খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে সিরিজ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার দুই দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত সৈয়দ মোঃ শাহীন গ্রেপ্তার হয়নি।
আসামি সৈয়দ মোঃ শাহীন পঞ্চাশোর্ধ বয়সী। পিতা মৃত সালেহ আহন্মেদ। ২৫ বছর আগে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থেকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফরমাইশাখানা ৭ নং ওয়ার্ডে স্ত্রীসহ বসবাস শুরু করে। চাকুরী করতো সেনহাটী সাগর জুট মিলে। ইতিপূর্বে তাঁর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অনেক অভিযোগ রয়েছে। নিজের কিছু প্রভাব থাকায় এবং এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে থাকার কারণে বিভিন্ন সময় অনৈতিক কাজ করেও সে পার পেয়ে যেতো।
১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে ফরমাইশখানা ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ধর্ষিত কিশোরীর হতদরিদ্র বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্যে মোঃ হারুন অর রশীদের সহায়তার দিঘলিয়া থানায় হাজির হয়ে সৈয়দ মোঃ শাহীন এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১, তাং ০১/০৯/২০২১। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়েকে গত ২ জানুয়ারী থেকে ২৯ আগষ্ট পর্যন্ত ৮ মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। শাহীন তাঁর পূর্বপরিচিত এবং প্রতিবেশী হওয়ায় তাঁর মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন, ভুল বুঝিয়া এবং লোভ দেখিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিজ বাড়ির ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করতো। মেয়েটি ছিলো খুবই সহজ সরল প্রকৃতির।
বাবা আরও জানান, ২৯ আগষ্ট আমার মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে নগরীর খানজাহানআলী থানার ফুলবাড়িগেট দারোগা বাজার মমতা ক্লিনিক এন্ড ডায়োগনিস্ট সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, আপনার মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষিত মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। বয়স ১৩ বছর। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েটি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎকাধীন রয়েছে।
এদিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে ক্লিনিকে নেওয়ার সংবাদ জানার পর থেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা সৈয়দ মোঃ শাহীন এলাকা থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিঘলিয়া থানা রিপন কুমার সরকার খুলনা গেজেটকে বলেন, অভিযুক্ত শাহীনকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।