বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলণামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, তৎকালীন জালিম আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার হুকুমে লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের শুন্য করতে চেয়েছিলো। সে দিন ঢাকা পল্টন ট্রাজেডিসহ সাড়া দেশে প্রায় দেড় হাজার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আজকের এই সুন্দর দিন পেয়েছি। আগামীতে আর কোন অপশক্তি যেন এরকম তান্ডব না চালাতে পারে সেই জন্য আমাদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ভুমিকা পালন করতে হবে। সুন্দর এই বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী বাজার মসজিদ সংলগ্ন চাঁদখালী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর অফিস উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
অফিস উদ্বোধন পূর্ব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আমীর মাওলানা রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ কামাল হোসেন, উপজেলা আমীর মাওলানা সাইদুর রহমান। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেন, বাইতুলমাল সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল খালেক, ইউনিয়ন সেক্রেটারি মো. মাঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা আজগর হুসাইন, এস এ মুকুল, মাওলানা রুহুল আমিন সরদার, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম সরদার, সাবেক ছাত্র নেতা মেহেদী হাসান রাসেল প্রমুখ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এখনও আমাদের সমাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং শত্রুতার নীলনকশা আঁকছে। এর অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আমরা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য এই ধরনের অপপ্রয়াস বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানাই।’
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন নির্যাতন, দমন নিপীড়নের কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জামায়াতের ইসলামীর প্রকাশ্যে রাজনীতি এক প্রকার বন্ধই ছিল। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী ফাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যমে দেশ সেবার লক্ষ্য নিয়ে সারাদেশে জনসংযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই উদ্দশ্যকে গতিশীল করতে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর অফিস উদ্বোধন করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/এমএম