মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের স্মৃতিধন্য কপোতাক্ষ নদ দখল-দূষণ ও ভরাট হওয়ার কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপক‚লীয় অঞ্চলে দূর্যোগের ঝুঁকি বেড়েছে। ঝুঁকি মোকাবেলায় কপোতাক্ষ নদের স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নিশ্চিতে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মামুদকাটীতে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে আয়োজিত মানবন্ধন ও সমাবেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।
সুন্দরবন ও উপক‚ল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে উক্ত কর্মসূচীতে অংশ নেন ঢাকা থেকে আগত নাগরিক প্রতিনিধি দলের নেতা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব)’র কোষাধ্যক্ষ আমিনুল হক ভূঁইয়া, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের প্রতিনিধি নূর আলম শেখ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) প্রতিনিধি সৈয়দ মিজানুর রহমান, শহীদ আলীম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদুল হাসান, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, ফেইথ ইন একশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, অনির্বাণ লাইব্রেরি’র উপদেষ্টা অধ্যাপক বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ ও যুব নেতা প্রদীপ দত্ত।
এ সময় সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এমনিতেই দূর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরপর কপিলমুনিতে সেতু নির্মাণের নামে পিলার স্থাপন করে ২০বছর ধরে নদীর পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ করায় দখল দূষণে নদীটি বর্তমানে মৃতপ্রায়। ঐতিহ্যবাহী এই নদটিকে রক্ষায় বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধনে বক্তৃতায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। অনাদিকাল থেকে নদীর পানির দ্বারাই আমাদের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি, কৃষি ও মানব জীবন সিঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের নদীর সংখ্যা দেড় হাজার থেকে মাত্র আড়াই শ’ তে নেমে এসেছে। তাই নদী রক্ষায় আমাদেরকে এখনই সচেতন হতে হবে, প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে কপোতাক্ষ নদের প্রবাহ স্বাভাবিক না রাখতে পারলে সাতক্ষীরা, খুলনা, যাশোর ও ঝিনাইদহ জেলার কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকায় বিপর্যয় নেমে আসবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তারা।
খুলনা গেজেট/ টি আই