তেরখাদায় বিদ্যালয়ের নির্বাচন বিষয়ে বিবৃত দিয়েছেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী। বুধবার (২৭ এপ্রিল) নাজমুল হাসানের ইমেল থেকে বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়- তেরখাদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনে সমগ্র খুলনায় যে আলোচনার ঝড় উঠেছে সে সম্পর্কে মূলত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার একটি অপচেষ্টা ও পায়তারা আমাদের কাছে পরীলক্ষিত হয়েছে। ঘটনা প্রবাহে একটি দুষ্টচক্র খুলনা-৪ নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর জনগণের মধ্যে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের অপচেষ্টা করেছে।
মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বয়ানে এরকম কথা প্রচার করা হচ্ছে যে খুলনায় তার নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয় সংসদ সদস্য একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা মালা সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন জাতীয় সংসদ সদস্যের খ্যাতিমান ব্যক্তি একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ?
মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনী কার্যক্রমে খুলনার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য জননেতা আব্দুস সালাম মূর্শেদী ঘুর্নাক্ষরেও অবগত ছিলেন না। জননেতা আব্দুস সালাম মূর্শেদী কোন প্রকার লিখিত সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র জমা দেন নাই। একটি চক্র আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপির জনসম্মুখে গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে চক্রান্তের ফল হিসেবে আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপিকে তেরোখাদা শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রার্থী হিসাবে প্রচার করে।
এই নির্বাচনে তার পরাজয়ের কথা সামাজিক যোগাযোগ ও প্রচার মাধ্যমে প্রচার করে যে ঘৃণ্য অপতৎপরতা চালাচ্ছেন তা বুঝবার মত মেধা জনগণের আছে। এই সভাপতি নির্বাচনের পাতানো ঘটনায় নিশ্চয়ই একজন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই নির্বাচনী কার্যক্রমে সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী এর স্বাক্ষরিত কোন মনোনয়নপত্র কি জমা পড়েছে?
প্রকৃত প্রস্তাবে এই সভাপতি পদে নির্বাচনে আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপির মৌখিক কোন মতামত ওকি সেখানে নেওয়া হয়েছে? অথচ সামাজিক ও প্রচার মাধ্যমে একটি মহল ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করছেন আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয়েছেন। এই নিন্দনীয় ঘটনার অবসান হোক শুভ ও বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বিজয় হোক।