খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ মাঘ, ১৪৩১ | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ব্যাপক ভাঙচুরের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে আগুন
  রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম সুন্দরবন টাইগার্স, দ্বিতীয় জয় মা কালী ও তৃতীয় মোবাইল দল

ভেজাল খেজুর গুড়ে সয়লাব হাট-বাজার

তেরখাদা প্রতিনিধি

বাঙালির কাছে পিঠাপুলি তৈরির অন্যতম উপকরণ খেজুর গুড়ে এখন মেশানো হচ্ছে চিনি। এখন শীতের মৌসুম। ইতোমধ্যেই ভেজাল পাটারি ও খেজুর গুড়ে সয়লাব হয়েছে তেরখাদা উপজেলার হাট বাজার গুলোতে। খুলনার বড় বাজারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসব গুড় এনে বাজারজাত করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে সাধারন মানুষ।

জানা গেছে, শীত মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। এরই মধ্যে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে পাটারি ও খেজুর গুড়ের।

উপজেলা সদরের তেরখাদা, জয়সেনা ও কাটেংগা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২ জন গুড় ব্যবসায়ী সহ ১৫/২০ টি মুদির দোকানে গুড় বিক্রি হচ্ছে। বেশি লাভের জন্য শীত মৌসুমের আগেই খুলনার পাইকারী বাজার থেকে ভেজাল পাটারি ও খেজুর গুড় কিনে আনছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করা সত্বেও উপজেলার ইখড়ি, কাটেংগা এলাকার কয়েকজন গাছি জানান, নিম্নমানের ঝুলা ও নরম গুড় গলিয়ে তাতে চিনি, রং, হাইড্রোজ, সোডা, ফিটকিরি, পাথুরে চুন ও বিশেষ গাছের ছালের গোড়া দিয়ে গুড় তৈরি করা হয় এসব ভেজাল গুড়। গুড়ের চাহিদা ও উৎপাদন খরচ পুশিয়ে নিতে প্রতি ১০ লিটার রসে দুই কেজি চিনি মেশানো হয়। গুড়ের রং ফর্সা ও গুড় শক্ত করতে মেশানো হয় চিনি। এই গুড়ে প্রকৃত স্বাদ গন্ধ থাকে না। ওই গুড় প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রয় করা হচ্ছে।

গুড় ব্যবসায়ী রাসেল শেখ জানান, আমরা বাইরে থেকে পাইকারী দরে গুড় কিনে এনে বিক্রি করছি। ভেজালের বিষয়টা জানা নেই।

গুড় কিনতে আসা ইখড়ি এলাকার রিংকি বেগম নামে এক গৃহিনী বলেন, বাজারে খেজুর গুড় দেখলাম তাই ছেলে মেয়েকে পিঠা খাওয়ানোর জন্য কিনলাম।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সেনেটারি কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল রানা, ভেজাল গুড়ের কথা স্বীকার করে বলেন, বাজার পরিদর্শনকালে গুড় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে, ভালো মানের গুড় বিক্রয়ের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। যদি কেউ ভেজাল গুড় বিক্রি করে তাহলে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ভেজাল গুড় চি‎হ্নিত করে অসাধু ব্যবসায়দের বিরুদ্ধে নতুন খাদ্য আইনে জরিমানা করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!