তিন মাস পর দেশে ফিরলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলখানায় আটক ৪০ জন বাংলাদেশি জেলে। এছাড়া ও এখনো ৪৯ জন বাংলাদেশি জেলে আটক রয়েছেন সেখানে।
মঙ্গলবার ( ০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৪০ জন জেলেকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ‘বিশেষ ট্রাভেল পাসে’ বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসগারে ইলিশ ধরতে গিয়ে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন বাংলাদেশের অনেক মৎস্যজীবী। সমুদ্রে ভেসে যাওয়া মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে ভারতীয় জেলে ও সেখানকার কোস্টগার্ড পুলিশ। ওই সময় ৯০ জনকে উদ্ধার করলেও একজনের মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ডহারবাল হাসপাতালে।
আটকদের মধ্যে ৪০ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। এদের মধ্যে ৬ জন পিরোজপুর ও ৩৪ জন বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ হাইকমিশনার মারেফাত তারিকুল ইসলাম জানান, ফেরত আসা বাংলাদেশি ৪০ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর ফ্লাডসেন্টারে নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন ২৩ জন। এবং বাকি ১৭ জন ছিলেন মইপিঠ এলাকায়। খুব তাড়াতাড়ি আরও ২৬ জনকে ফেরত পাঠানো হবে। দুই দেশের সহযোগিতায় এটা দ্রুত সম্ভব হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি জেলেদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসা জেলেদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার। আজই তাদের পরিবারেরকাছে হস্তান্তর করা হবে।