খুলনার ডুমুরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নদীর তীরবর্তী উপকূলীয় এলাকার প্রায় দেড় হাজার ঘের প্লাবিত হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে শুরু হওয়া জোয়ারের পানি ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে তুমুল গতিতে ভিতরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। সন্ধ্যার ভিতরে প্রায় দেড় হাজার মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে যায়।
এছাড়া বাঁধ উপচে ও স্লুইচ গেট দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে উপজেলার মাগুরাখালি, শরাফপুর, শোভনা, সাহস, খর্ণিয়া, রুদাঘোরা ইউনিয়নের চিংড়ি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ১৮০০ হেক্টর আয়তনের ২৬৫০টি ঘের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এতে প্রায় ১০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ আবু সাইদ বলেন, জেলার প্রধান নদ নদী গুলোতে জোয়ারের পাানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার কিছু এলাকায় বাঁধ উপচে ও স্লুইচ গেট দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশের সংবাদ পেয়েছি। এতে মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। এ কারণে জেলার কতগুলো মৎস্য ঘের ভেসে গেছে ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাগনদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম