বাংলাদেশকে রানপাহাড়ে তুলে ব্যক্তিগত এক মাইলফলকের দিকেই ছুটছিলেন মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৯ রান দূরত্বে থেকে পুড়লেন হতাশায়। ১৯১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মিস্টার ডিফেন্ডেবল। তবে ঠিকই দলীয় লিড শতরানের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি, ক্রিজে ফিফটি নিয়ে অপরাজিত আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৪৯৫ রান। বিরতিতে থেকে ফিরে সাবলীলভাবে খেলেই দলীয় রান পাঁচশ পার করেন মুশফিক-মিরাজ। যদিও ওই মুহূর্তে সবার নজর ছিল মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। ১৯১ রানে থাকাবস্থায় অফস্টাম্পের বাইরে মোহাম্মদ আলীর কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়ে বসলেন তিনি। নিজের হতাশা তো লুকাননি, সঙ্গে ড্রেসিংরুমে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত–ও আক্ষেপে মাথা নিচু করে ফেলেন।
মুশফিকের বিদায়ে ৫২৮ রানে সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে সফরকারীদের লিড দাঁড়াল ৮০ রানে। এর আগে ৩৪১ বলের ইনিংসে মুশফিক ২২ চার ও একটি ছয় মেরেছেন। দারুণ বোঝাপড়া নিয়ে দলকে রানপাহাড়ে তুলেছেন মুশফিক-মিরাজ। দুজনে জুটি গড়েছেন ১৯৬ রানের। অপরাজিত মিরাজ এখন পর্যন্ত ১০৫ বলে ৬৪ রান করেছেন।
এর আগে শুক্রবার ৫ উইকেটে ৩১৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে নিজেদের জুটিতে শতরান পূর্ণ করেন মুশফিক ও লিটন দাস। লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। অনেকটা মুশফিকের মতোই নাসিম শাহ’র বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই মুশফিক-মিরাজের সেই দাঁত কামড়ানো জুটি। দিনের নবম ওভারেই পাকিস্তান সাফল্য পেলেও, এরপর লম্বা সময় এই দুজন তাদের পরীক্ষা নিয়েছেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই মুশফিক ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বিরতির পর পর ফিরে মুশফিক দেড়শ এবং মিরাজ করেন ফিফটি। দ্বিতীয় সেশনে দুজনের জুটি দারুণ জমে ওঠে। দুই ডানহাতি মিলে নিরাপদে সেই সেশন পার করে পাঁচশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান দলকে। চা বিরতির পর ফিরে তাতে ছন্দপতন ঘটে মুশফিকের বিদায়ে।
খুলনা গেজেট/এএজে