ট্রেনে উঠতে গিয়ে পরিচালকের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। এসময় পরিচালকের লাথিতে শিক্ষিকার নাক ফেটেছে ও আহত হয়েছে শিক্ষিকার সাথে থাকা ইরিন জাহান লিজা নামে এক স্কুলছাত্রী। অভিযুক্ত ট্রেন পরিচালকের নাম আল মামুন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে বেনাপোলগামী ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা দু’জন শিক্ষার্থী সাথে নিয়ে স্কাউট পুষ্প ক্যাম্পে অংশ নিতে ঝিকরগাছা যাচ্ছিলেন। তিনি ওই স্কাউট ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেনাপোলগামী ট্রেনে এদিন সকালে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল।
ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে না পেরে ওই স্কুল শিক্ষিকা শিক্ষার্থী দু’জনকে নিয়ে ট্রেনের পরিচালকের (গার্ড) রুমের সামনে গিয়ে তাদের উঠাতে অনুরোধ করেন। ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে বারবার অনুরোধের এক পর্যায়ে ট্রেনের পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল শিক্ষিকার মুখে লাথি মারেন এবং লাঠি দিয়ে এক ছাত্রীকে বেধড়ক মারটি করেন। ট্রেন পরিচালকের লাথিতে শিক্ষিকার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এসময় লাঠির আঘাতে স্কুল ছাত্রী ইরিন জামান লিজা আহত হন।
ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা জানান, কোনো কুল কিনারা না পেয়ে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার অনুপ কুমার মন্ডলকে জানালে তিনি ৯৯৯ এ বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানান।
নওয়াপাড়া রেলস্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার অনুপ কুমার মন্ডল ঘটনা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের সময় ওই নারীর নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তিনি বলেন, ট্রেনের দায়িত্বে থাকা গার্ড খুলনার নয়, তিনি রাজবাড়ীর গার্ড। নাম যতদূর জেনেছি আবদুল্লাহ আল মামুন। শনিবার স্টেশনের বড় মাস্টার আসলে বিষয়টির সুরাহা হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি