খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভিসা আবেদনের জন্য মার্কিন দূতাবাসে গেছেন খালেদা জিয়া
  ধর্মকে কেন্দ্র করে দেশে এমন উন্মাদনা দেখতে চাই না : মির্জা ফখরুল

টাইগারদের মানসিক অবসাদ প্রকট আকার ধারণ করেছে

ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেটকে অনেকেই বলে থাকেন মনস্তাত্ত্বিক খেলা। এটা যেমন টেকনিক্যাল, ততটাই মানসিক। আধুনিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা বেড়েছে ঢের। প্রায় সারা বছরই জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের খেলার মধ্যে থাকতে হয়। এতে ট্রেনিং করে শরীর ফিট রাখা গেলেও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের মানসিক দুর্বলতা। এজন্য দলের বিদেশি কোচিং প্যানেলের সদস্যরা আঙুল তুলেছেন ক্রিকেটারদের।

টাইগার টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের মানসিক অবসাদ এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, সেটির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ড্রেসিংরুমের পরিবেশে। শ্রীলঙ্কায় বিপক্ষে ঘরের মাঠে ঢাকা টেস্ট ১০ উইকেটের হারের পর অকপট টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ শনিবার মিরপুরে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বোর্ডের গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগের এই চেয়ারম্যান।

সুজন বলছিলেন, ‘মানসিক জড়তা রয়ে গেছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। ছেলেরা কতটুক স্বীকার করবে জানি না। কিন্তু ড্রেসিংরুমে মানসিক সমস্যার একটা বাধা রয়ে গেছে। মানসিকভাবে আমরা হয়ত সেরকম না বা এখনো মানিয়ে নিতে পারছি না।’

তবে প্রশ্ন রয়ে যায়, ব্যর্থতার পিছনে পুরো দায় কি খেলোয়াড়দের মানসিক অবসাদের? নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের পর এই ফরম্যাটে আর তেমন কোনো সাফল্য নেই। এমনকি ঘরের মাঠে পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কাকে পেয়েও ফলাফল পক্ষে আনা গেল না। উল্টো সিরিজ হারের বেদনায় পুড়তে হলো। কিন্তু টেস্ট দলে এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যাই তো বেশি, যারা শুধু এই ফরম্যাটাই খেলেন। এজন্য সুজন মানসিকতার সঙ্গে টেকনিক্যাল প্রবলেম আছেও বলে মনে করছেন।

সুজনের ব্যাখ্যা, ‘কথা আসে- টেকনিক্যাল প্রবলেম কি না। টেকনিক্যাল প্রবলেম তো কিছু না কিছু থাকেই। আমরা কোথাও আটকে আছি যেখান থেকে বের হতে পারছি না। মোমেন্টাম নষ্ট থাকে, আত্মবিশ্বাস অনেক কম থাকে। এমন কিছুও হয়ত হচ্ছে। উন্নতির সুযোগ থাকছেই। মূল ৩-৪ জন বোলার ছিল না- এগুলো অজুহাতের মতো। যারা খেলেছে তারা কেন পারবে না? সমস্যাটা কোথায় এটা বের করাই গুরুত্বপূর্ণ।’




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!