যশোর শহর ও ঝিকরগাছায় ডাকাতির সময় হত্যা এবং চুরির সাথে জড়িত জিএম মোদাচ্ছের রহমান ওরফে মাস্টার নামে অপর এক আসমিকে বাগেরহাট থেকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৩০ কন্টেইনার চোরাই মবিল উদ্ধার করা হয়েছে। যার দাম দুই লাখ চার হাজার টাকা। এর আগে আটক হওয়া ১২ জনের মধ্যে রিমান্ডে নেয়া চারজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। আটক জিএম মোদাচ্ছের রহমান মাস্টার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুর রহিম গাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দোনা গ্রামের পঞ্চকরণ হাকীম মেম্বরের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানায়, গত ১৪ আগস্ট গভীররাতে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেল শহরের কৃষ্ণনগর রাজাপট্টি বাজারে একজন নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে ঝিকরগাছা অটো ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্কসপ থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ব্যাটারি লুট করে ডাকাতরা। এছাড়া যশোরে আরও তিনটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসব ঘটনার সাথে ১২ জনকে আটক করে। একইসাথে আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ডাকাতি ও চুরি করা মালামাল। তাদের মধ্যে চারজনকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে আরো এক আসামি মোদাচ্ছের রহমান মাস্টারকে আটক হয়। তার কাছ থেকে ৩০ কন্টেইনার চোরাই মবিল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম জানান, উদ্ধারকৃত মালামাল বকচরের আব্দুস সবুরের দোকান থেকে চুরি করা হয়েছিলো।