যশোরের ঝিকরগাছায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজমুল আলম লিটন হত্যা মামলায় আটক সাইফুল ইসলাম সাগর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আটক সাগর ঝিকরগাছা উপজেলার বরুণহাল গ্রামের আলী বকস দপ্তরির ছেলে। নিহত লিটন পাঁচপোতা গ্রামের ওহাব মোড়লের ছেলে।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে সাগর জানিয়েছে তিনি ঢাকায় আইনজীবী সহকারীর কাজ করতেন। ছুটিতে বাড়িতে এসে লিটনের সাথে পাঁচপোতা গ্রামের মৃত রফিক মেম্বরের বাড়িতে ছিলেন। এ সময় টেপ দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত একটা বস্তু পায় লিটন। এসময় সে টেপ খোলা শুরু করে। কিছু সময়ের মধ্যে তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। লিটনের রক্তাক্ত শরীর দেখে লিটন পালিয়ে যায় বলে আদালতকে জানায়।
এ ঘটনায় আহত লিটন ও সাগরকে আসামি করে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই কাজী সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
এদিকে, আহত লিটনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় লিটন। পরে মামলাটি বিস্ফোরকের সাথে হত্যার অভিযোগ যুক্ত হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাগরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি